বাণী
আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় ও জাতীয় জীবনে আত্নত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত অবিস্মরণীয় ও গৌরবোজ্জ্বল দিন। দিবসের প্রারম্ভে সবাইকে জানাচ্ছি আমত্মরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বিজয় দিবসের প্রাক্কালে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক এবং স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি নির্ভীক ও অদম্য বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে যাঁদের ত্যাগ জাতির মুক্ত করেছে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে নিরমত্মর প্রেরণা যোগাচ্ছে।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে দেশ মাতৃকার ডাকে দীর্ঘ নয় মাস রক্তÿয়ী মৃক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অসমসাহসী নির্ভীক, অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করে ঝাঁপিয়ে পড়েন মহান মুক্তিযুদ্ধে। এ সূর্য সমত্মানদের সুমহান আত্নত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে এক অবিস্মরণীয় বিজয়ের মাধ্যমে। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সমত্মান। তাদের কল্যাণেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা হল ÿুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এ লÿ্য অর্জনে আমাদের সংগ্রাম অব্যহত আছে। এ জন্য প্রয়োজন সকলের আমত্মরিক প্রচেষ্টা।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের কল্যাণে বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধ কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের চাকুরীতে বয়স-সীমা বৃদ্ধি, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি,রেশন প্রদান, চিকিৎসা সুবিধাসহ নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান প্রদানে সরকার বদ্ধ পরিকর।
২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়মত্মী উদ্যাপিত হবে। এই সুবর্ণজয়মত্মীকে সামনে রেখে আসুন দল-মত-শ্রেনী-পেশা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সুখী সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লÿÿ্য কাজ করি। এমন একটি রাষ্ট্র কাঠামো নির্মাণ করি যেখানে থাকবে প্রতিটি নাগরিকের উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা।
আগামী দিনের বাংলাদেশ হোক কাঙ্খিত স্বপ্নের সোনার বাংলা, যেখানে ভবিষ্যত প্রজমেণর জন্য থাকবে সম্ভাবনার অপার দিগমত্ম। সবাইকে আবারও বিজয় ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা। বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।
(মোঃ হাসান হাবিব)
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
জলঢাকা, নীলফামারী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস